🕌 বাঙ্গালপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা সংক্রান্ত নিয়ম ও বিধিমালা

    মসজিদ পরিচালনার সকল নিয়মাবলি এখানে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা ধর্মীয় শৃঙ্খলা ও সহমর্মিতার ভিত্তি গড়ে তোলে

    ১. মসজিদের উদ্দেশ্য ও ব্যবহার

    • বাংলাদেশের সাধারণ মসজিদসমুহ যেভাবে পরিচালিত হয়, সেভাবে পরিচালিত হবে।
    • মসজিদ শুধু মাত্র মুসলমানদের ইবাদতের স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
    • কোনো রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক বা বিভেদমূলক কার্যক্রম মসজিদে চলবে না।
    • মসজিদের নামাজ, ওয়াজ, কোরআন শিক্ষা, ইসলামি শিক্ষা, ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হবে।

    ২. কমিটি গঠন ও কার্যকাল

    • মসজিদ পরিচালনার জন্য একটি নির্বাহী কমিটি থাকবে, যার মেয়াদ সাধারণত ২ বছর।
    • কমিটিতে থাকবে: সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ এবং সর্বোচ্চ ৭ জন সদস্য।
    • কমিটির সদস্যদের নির্বাচন গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে গণতান্ত্রিকভাবে হবে।

    ৩. কমিটির দায়িত্ব

    • ইমাম ও মোয়াজ্জিন নিয়োগ ও বেতন নির্ধারণ।
    • মসজিদের সংস্কার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
    • মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখা এবং প্রতিবছর গ্রামবাসীর সামনে তা উপস্থাপন করা।
    • যে কোনো অনুদান বা চাঁদা গ্রহণে স্বচ্ছতা বজায় রাখা।

    ৪. আর্থিক নীতি

    • মসজিদের ব্যাংক একাউন্ট থাকবে কমিটির নামে। তাতে সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে লেনদেন হবে।
    • কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা থেকে অনুদান নিলে তার রশিদ দিতে হবে।
    • বছরে অন্তত ১ বার হিসাব নিরীক্ষা (অডিট) করতে হবে।

    ৫. ইমাম ও মোয়াজ্জিন

    • ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের নিয়োগ গ্রামবাসীর পরামর্শ ও কমিটির অনুমোদনে হবে।
    • তাঁদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করলে প্রয়োজনীয় আলোচনা ও শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ৬. শৃঙ্খলা ও শিষ্টাচার

    • মসজিদের ভিতরে বা চত্বরে উচ্চস্বরে কথা বলা, ঝগড়া-বিবাদ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
    • শিশুদের যেন শৃঙ্খলা বজায় রাখে, সে বিষয়ে অভিভাবকদের দায়িত্ব থাকবে।
    • বিদ্যুৎ, পানি, ফ্যান/মাইক ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

    ৭. মসজিদ সম্পত্তি ও দান

    • মসজিদের কোনো সম্পত্তি ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে ব্যবহার করা যাবে না।
    • কোনো ব্যক্তিকে মসজিদের মালিকানার দাবির সুযোগ থাকবে না।
    • জমি বা সম্পত্তি ওয়াক্ফ করা হলে তার লিখিত দলিল সংরক্ষণ করতে হবে।

    ৮. বিশেষ পরিস্থিতিতে ব্যবস্থা

    • কমিটির কোনো সদস্য যদি ধর্মবিরোধী, দুর্নীতিপূর্ণ বা বিশৃঙ্খল আচরণ করেন, তাকে সতর্ক করে প্রয়োজনে কমিটি থেকে অপসারণ করা যেতে পারে।
    • গুরুতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিশেষ সাধারণ সভা ডাকা হবে।

    ৯. বিবিধ

    • জুমার খুতবা ও বয়ানে সাম্প্রদায়িকতা, বিদ্বেষ, কিংবা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়া যাবে না।
    • ইসলামিক ঐক্য ও শান্তি বজায় রাখতে সবাইকে উৎসাহিত করা হবে।